শেষ হল বহু আলোচিত পঞ্চায়েত নির্বাচন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সবুজ ঝড়ে কার্যত উড়ে গেল বিরোধীরা। গ্রাম বাংলার মানুষ যে উন্নয়নের পক্ষেই আছে বোঝা গেল এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রায় দিল জনতা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষীর ভান্ডারেই ভরসা রাখল জনগণ।রাজ্যের ২২ টি জেলা পরিষদই রইল তৃণমূলের হাতে।গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে শতাংশের হিসেবে কমল বিজেপির ভোট,ভোট বাড়ল বাম, কংগ্রেস,আইএসএফের।নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে গণনা পর্যন্ত উত্তাল ছিল বাংলা।মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসার বলি ৪০ জন বলে বিভিন্ন সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। মৃতের সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু মৃতের সংখ্যা যাই হোক না কেন,একটা মৃত্যুও দুঃখজনক।গণতন্ত্রের এই উৎসবে বন্ধ হোক রক্তের হোলি খেলা।এ বিষয়ে শাসক থেকে বিরোধী,সব রাজনৈতিক দলকেই দায়িত্ব নিতে হবে।ভোট গণনার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে হিংসার ঘটনা।ভোট পরবর্তী হিংসায় আর যেন কোনও মায়ের কোল খালি না হয়,সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে পুলিশ প্রশাসন সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে হিংসার ঘটনা।রুখে দিতে হবে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চক্রান্ত।এ বিষয়ে শাসকদলকে আরও বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে।কারণ বাংলার মানুষ শান্তি চাই, উন্নয়ন চাই, হিংসা নয়।