আমিনুর রহমান, বর্ধমান —– পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দই,মিষ্টির হাঁড়ির নিচে দেবার বিঁড়ে শিল্পের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হলো পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমায়। বিশেষ করে করে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মহিলাদের জন্য এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সংকেত মিলেছে বলে দাবি। পূর্বস্থলীর গয়ারাম দাস উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে বিঁড়ে শিল্পের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও কাজের ভবনের শিলান্যাস করলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ব্যয় হবে ১৭ লক্ষাধিক টাকা। তিন মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে নির্মাণ সংস্থা জানিয়েছে। মন্ত্রী নিজেই এই বিঁড়ে বর্ধমানের কালনা, সমুদ্রগড়, পূর্বস্থলী , নদিয়া জেলার নবদ্বীপ সহ অন্যান্য এলাকায় মিষ্টির দোকানে ফেরি করে বিক্রি করে সহযোগিতা করবেন বলে জানান। তিনি বলেন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মানুষকে স্বনির্ভর করে তুলতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন। তাদের ক্ষুদ্র শিল্পে আগ্রহী করতে এককালীন পনেরো হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছেন। স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা বাড়িতে বসে বা সংঘবদ্ধভাবে ভাবে হস্তশিল্প গড়ে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হচ্ছেন। এবার তাদের উৎপন্ন দ্রব্য বিপণনের জন্য স্থায়ী ভাবনা ভাবা হয়েছে। পথের সাথী চত্বরে চালু করা হল হস্তশিল্পের হাট। প্রাথমিক ভাবে সপ্তাহে একদিন রবিবার শুরু হলেও আগামী দিনে সংখ্যাটা বাড়তে পারে। আমরা প্রাথমিক ভাবে হাটে আসা দোকানদারদের জন্য বিনামূল্যে দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও এদিন আমরা মিষ্টির দোকানে ব্যবহৃত দই ও মিষ্টি হাঁড়ির নীচে দেওয়ার জন্য একটি বিঁড়ে শিল্পের ক্লাস্টার ভবন তৈরির কাজ শুরু করছি। প্রথমে ১৫০ জনকে নিয়ে শিল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ও তাদের আর্থিক সাহায্য করা হবে।