অমানবিক !জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে গত ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ধনেখালি বিধানসভার মাকালপুরের ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধু।চিকিৎসা চলাকালীন আজ তিনি ওই বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।মৃত রোগীর পরিবারকে হাসপাতাল থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার বিল ধরানো হয়েছে।জমি জায়গা বিক্রি করে ইতিপূর্বেই প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা ওই বেসরকারি হাসপাতালে জমা দিয়েছেন মৃতার পরিবার।কিন্তু বাকি প্রায় ১২ লক্ষ টাকা হাসপাতালে জমা দিতে না পারায় মৃতদেহ ছাড়তে রাজি নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ,অভিযোগ। চিকিৎসার গাফিলতিতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের।আবার হাসপাতাল থেকে মৃত রোগীর পরিবারকে জানানো হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকার মধ্যে এই একমাসে শুধুমাত্র ওষুধ লেগেছে ১৭ লক্ষ টাকার।টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ৩০ দিনে ওষুধ লেগেছে ১৭ লক্ষ টাকার,ভাবা যায় ! মৃত রোগীর পরিবারের দাবি, ভর্তির সময় রোগী বেডে বসে কথা বলতে পারলেও ভর্তির পর থেকেই তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।হাসপাতাল থেকে জানানো হয় রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।মাঝে মধ্যেই পরিবারকে জানানো হয় রোগীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।কিন্তু গতকাল হাসপাতাল থেকে রোগীর পরিবারকে রোগীকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বলা হয়।আর আজ সকালে জানানো হয় রোগীর অবস্থা খুব খারাপ,আর দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ রোগী মারা যায়।রোগীর পরিবারের অভিযোগ,সঠিক চিকিৎসা না করে ভেন্টিলেশনে রোগীকে রেখে বিল বাড়ানোই উদ্দেশ্য ছিল এই বেসরকারি হাসপাতালের।অসহায়তার সুযোগ নিয়ে সম্পূর্ণ বিল দিতে না পারায় মৃতদেহ আটকে রেখে রোগীর পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা কতটা অমানবিক তা সহজেই অনুমেয়।