তোলাবাজির অভিযোগে হুগলির বাঁশবেড়িয়া কালীতলার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি দেবরাজ পালকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করল মগরা থানার পুলিশ।আজ বুধবার তাকে চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।যদিও ধৃতের দাবি, তাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে।এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে ত্রিবেণী কালীতলা এলাকা থেকে বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকারী সভাপতি দেবরাজ পালকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে বুধবার চুঁচুড়া আদালতে পাঠালো মগরা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, মগড়া থানার অদূরে হাঁসগড়া এলাকায় দিল্লি রোডের পাশে একটি হিমঘর রয়েছে। জমির পরিমাণ আট বিঘা। বর্ধমানের কামালউদ্দিনের এক পরিচিত ব্যক্তির সেই হিমঘর ব্যাঙ্কে বন্দক ছিল। কামালউদ্দিন পরিচিত ব্যক্তির ইচ্ছাতেই ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সেই সম্পত্তি ভাই আজিবউদ্দিনের নামে কিনে নেয়। অভিযোগ, সেই হিমঘর কেনার জন্য একদিন কামালউদ্দিনের কাছে ফোন আসে দেবরাজের। ফোনে কামালউদ্দিন জমির দাম দেন সাড়ে সাত কোটি টাকা। অভিযোগ, সেই ফোনের কিছুদিন পরেই জনা পঞ্চাশেক লোক নিয়ে হিমঘরে আসেন দেবরাজ। দেবরাজের হাতে বন্দুক ছিল বলে অভিযোগ। কামালউদ্দিন জানান, প্রাণের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাঁকে ত্রিবেণী কালীতলার কাছে কোনও একটি জায়গায় নিয়ে যায় কালীতলার বাসিন্দা দেবরাজ। প্রথমে এক কোটি টাকা দাবি করে। পরে দরাদরিতে ৫০ লাখে নামে। এরপর কামালউদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কামালউদ্দিনের দাবি, ওই মাসেই ১৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় দেবরাজকে। কিন্তু তারপরও বাকি ৩৩ লাখের জন্য ফোনে চাপ দিতে থাকে দেবরাজ। ভয়ে মগরায় আসতে পারছিলেন না তিনি। শেষমেশ পুলিশ প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ জানান তিনি। মঙ্গলবার মগরা থানার পুলিশ ত্রিবেনী এলাকা থেকে দেবরাজ পালকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাকে পাঠানো হয় চুঁচুড়া আদালতে।চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশের হেফাজতের নির্দেশ দেন।তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই দেবরাজ পাল গ্রেফতার হয়েছেন বলে দাবি করেন হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ।এ বিষয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, “অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার পর তদন্ত করে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।আইনত যা কিছু করণীয় সব পদক্ষেপই করা হবে।”