এখন যেকোনও অনুষ্ঠানে মাইক অবশ্যই চাই।তা না হলে যেন অনুষ্ঠান ঠিক জমে না। হতে পারে তা বিয়ে বাড়ি, অন্নপ্রাশন বা পুজো পার্বণ। কালীপুজো হলে তো কথাই নেই।শুধু মাইকে কাজ হবে না,চাই ডিজে বক্স।এখন তো আবার ঈদেও বিভিন্ন জায়গায় তারস্বরে মাইক বাজছে।মাইক সংস্কৃতি যেন যেকোনো অনুষ্ঠানের একটা অঙ্গ হয়ে উঠেছে।মাইক ছাড়া অনুষ্ঠান ভাবাই যায় না। মাইক বাজুক অসুবিধা নেই। কিন্তু শব্দের তো একটা লিমিট থাকবে।সারাদিন যদি তারস্বরে মাইক/ডিজে বাজে তাহলে তো সাধারণ মানুষের টেকা দায়।।তার ওপর শব্দ দূষণ তো আছেই।বাড়ির বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষদের কথা কেউ ভাবেই না এখন।নিজেরা আনন্দ করবো এটাই বড় কথা,কার কি হল তাতে কি যায় আসে ? প্রতিবাদ করলেই মুশকিল।শুধু হুমকি নয়,আক্রমণের মুখেও পড়তে হতে পারে।তাই এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও সাহস পায় না সাধারণ মানুষ।আর এ সব দেখে শুনেও নির্বিকার পুলিশ প্রশাসন।তবে কেবল পুলিশ প্রশাসনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।অভিযোগ পেলে ডিজে বন্ধে কোনো কোনো জায়গায় পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়।কিছু ক্ষেত্রে আবার আক্রমণের মুখেও পড়তে হয় পুলিশকে ! এত সাহস এরা পায় কোথা থেকে ? রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের মদত না থাকলে এটা কি সম্ভব ? অনেকেই বলছেন এ সবই ভোট ব্যাংকের রাজনীতি। তাহলে বুঝতেই পারছেন,যদি পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে সেখানেও বিপদ।পুলিশকেও হেনস্থার শিকার হতে হয়।সে নজিরও আছে।তাহলে উপায় ? আমাদের সচেতনতাই পারে ডিজে নামক শব্দদানবের হাত থেকে আমাদের মুক্তি দিতে।পুজো পার্বণ উৎসব অনুষ্ঠানে মাইক/বক্স বাজুক,অসুবিধা নেই। কিন্তু সেটা অবশ্যই শব্দ বিধি মেনে।যে কোনও পুজো,পার্বণ এবং উৎসব অনুষ্ঠানে বন্ধ হোক ডিজে নামক শব্দদানবের অত্যাচার। নিয়ন্ত্রিত শব্দ মাত্রার মধ্যে বাজুক মাইক।সর্বদাই মনে রাখুন,আপনার আনন্দ যেন অন্যের নিরানন্দের কারণ না হয়।