বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষার বেহাল দশা! দীর্ঘ দিন ধরেই শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সাইকেল, জুতো,স্কুল ব্যাগ, ড্রেস,ট্যাব/মোবাইল,মিড ডে মিল – এই সবের হিসাব রাখতেই ব্যস্ত স্কুল শিক্ষকরা।এছাড়াও আছে কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী,মেধাশ্রী সহ বিভিন্ন প্রকার বৃত্তির কাজ।এ সব কাজ করতে গিয়ে স্কুলের মূল উদ্দেশ্যটাই এখন যেন গৌণ হয়ে পড়ছে।আবার সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়নেও ব্যবহার করা হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। দুয়ারে সরকার শিবির তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।ফলে বন্ধ থাকছে পঠন পাঠন।আবার অত্যধিক গরমের কারণেও অযৌক্তিক ভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকছে স্কুল।তার ওপর আবার শিক্ষকদের দিয়ে করানো হচ্ছে ভোটের কাজ।এর ফলেও বন্ধ থাকছে স্কুল। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়াশোনা।সব ক্ষেত্রেই আঘাত নেমে আসছে স্কুল শিক্ষার ওপর।শাসক থেকে বিরোধী,কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই স্কুল শিক্ষা নিয়ে। পড়াশোনা চুলোয় যাক, রাজনীতি বজায় থাক – এই মানসিকতা নিয়েই যেন চলছে সবাই।আর ভোট এলেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।তাদের রাখা হচ্ছে স্কুলগুলিতে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া কি তাদের রাখার আর জায়গা নেই ? পড়াশোনা তো লাটে উঠছে।শিক্ষা এত অবহেলিত কেন বাংলায় ? এ প্রশ্ন ওঠাই তো স্বাভাবিক।বই,ব্যাগ, জুতো, পোশাক সবই দেওয়া হচ্ছে স্কুল থেকে, কিন্তু আসল উদ্দেশ্যটাই তো ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক যে কেরানি নয়, মানুষ গড়ার কারিগর – এই কথাটা যেন আমরা ভুলতে বসেছি এখন।রাজ্যের শাসকদল তো বিদ্যালয়গুলিকে ‘প্রকল্প সেন্টার’ বানিয়ে ফেলেছে,যা মোটেই কাম্য নয়। শিক্ষাদান করাই শিক্ষকের প্রধান কাজ।অন্য কাজে শিক্ষকদের ব্যতিব্যস্ত রেখে শিক্ষাদানে ব্যাঘাত ঘটানো ঠিক নয়।তাই শিক্ষা আধিকারিকদের বাস্তবের মাটিতে পা রেখে পরিকল্পনা করা উচিত।কারণ বিদ্যালয়গুলি তৈরি হয়েছে পঠন পাঠনের জন্য।এটাই মুখ্য হওয়া উচিত,বাকি সব গৌণ।