খবর সোজাসুজি

চোখে চোখ রেখে কথা বলে !!!
চোখে চোখ রেখে কথা বলে !!!

শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ

বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা বড়ই ব্যস্ত,লোক-লৌকিকতার সময় নেই।আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্তমান সমাজে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের শিষ্টাচার আর সৌজন্যবোধ।হারিয়ে যাচ্ছে নীতি নৈতিকতা,মানবতা আর মনুষ্যত্ব।আমরা ভুলে যাচ্ছি ছোট-বড় পার্থক্য।বড়দের সম্মান দিতেও অনীহা।গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা,ভক্তি দিন দিন কমছে।শিষ্টাচার ও সৌজন্য বোধ এখন যেন কথার কথা।একটা সময় ছিল যখন রাস্তায় স্যারকে দেখতে পেলে সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতো ছাত্র-ছাত্রীরা, জিজ্ঞাসা করতো স্যার কেমন আছেন ? এখন সেসব অতীত।এখন স্যারকে দেখতে পেলে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করা তো দূরের কথা,না দেখার ভান করে অনেকেই চলে যায়। গুরুজনদের প্রতি সম্মান,শ্রদ্ধা,ভক্তি এখন আর সেভাবে দেখা যায় না।নীতি শিক্ষার বড় অভাব।আর এসবের জন্য দায়ী আমরাই। বড়দের দেখেই তো ছোটরা শেখে।কারণ একটা শিশু যে পরিবেশে মানুষ হয়,বেড়ে ওঠার সময় সে সমাজ ও পরিবারে যা দেখে তা-ই গ্রহণ করে।আমরা যদি আমাদের বড়দের সম্মান দেখাই তাহলে শিশুরাও আমাদের দেখে শিখবে।তাই কথা বার্তা বলার সময় আমাদের যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।আমাদের কথা বার্তা আচার আচরণ মার্জিত ও রুচি সম্মত হলে আমাদের সন্তানদেরও আচার আচরণ ও কথা বার্তা মার্জিত ও রুচিসম্মত হবে। সন্তানদের দিতে হবে ‘মানুষ’ হওয়ার পাঠ।তাহলেই দেখবেন, বাবা মা এবং গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বাড়বে।তাহলে বৃদ্ধাশ্রমের আর দরকার হবে না।পরীক্ষা হলে গিয়ে কেউ আর ফ্যান,লাইট কিংবা দরজা জানালা ভাঙবে না।পরীক্ষা শেষের আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে বই ছিঁড়ে রাস্তায় ওড়াবে না।ছোটরা বড়দের গায়ে হাত দেবে না।সম্পত্তির লোভে অসহায় বৃদ্ধ মা বাবাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে না।এখন স্কুল-কলেজে শিক্ষক-শিক্ষিকা ক্লাসে প্রবেশ করলে উঠে দাঁড়ায় ছাত্র ছাত্রীরা।এটা যেন একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে।সম্মান,শ্রদ্ধা ও ভক্তি করে কতজন উঠে দাঁড়ায় সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।কারণ এ ধরনের শিক্ষা তারা এখন আর পায় বলে মনে হয় না।পরিবার,সমাজ,স্কুল কলেজ থেকেই শুরু করতে হবে এই নীতি শিক্ষার পাঠ।আপনার সন্তানকে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার বানাবার আগে ‘মানুষ’হবার শিক্ষা দিন।ছোট থেকেই শিশু মনে জাগ্রত করুন মানবিক মূল্যবোধের ধারণা।তাহলেই গঠিত হবে একটা সুন্দর সুস্থ সমাজ।সর্বদাই মনে রাখবেন, আপনি যদি আপনার বড়দের সম্মান না দেন,তাহলে আপনাকেও আপনার ছোটরা সম্মান দেবে না। সম্মান পেতে গেলে আগে সম্মান দিতে হবে। নম্রতা, ভদ্রতা বজায় রেখে সকলের সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলুন। তাহলেই দেখবেন অন্যজনও আপনার সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলবে,শত্রুও মিত্র হয়ে যাবে। আমাদের আচার আচরণই ঠিক করে দেবে ছোটদের আচার আচরণ। আমাদের দেখেই ছোটরা শিখবে।আমরা যদি বড়দের সম্মান এবং ছোটদের স্নেহ, ভালোবাসা দিতে পারি তাহলে ছোটরাও আমাদের সম্মান দেবে।গড়ে উঠবে একটা সুস্থ সুন্দর সমাজ।

Share this on social media

Facebook
Twitter
Email
WhatsApp
Telegram
Pinterest

Recent Posts

author-avatar
  • July 20, 2025

দায় সারা কাজ গুড়াপ ইলেকট্রিক অফিসের কর্মীদের !

author-avatar
  • July 16, 2025

খবরের কাগজ ঠোঙা হবে !

author-avatar
  • July 16, 2025

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান হলেন জামালপুরের প্রাক্তন বিধায়ক এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি উজ্জ্বল প্রামাণিক।

author-avatar
  • July 16, 2025

নারায়নপুর থেকে মথুরাপুর যাবার পথে প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তায় নেই কোনো আলো।সন্ধ্যা হলেই রাস্তার পাশে বসে মদের আসর,অভিযোগ।অন্ধকার রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাই দায় !

author-avatar
  • July 10, 2025

রাজনীতির কারবারিরা নিজেদের স্বার্থে সুকৌশলে ব্যবহার করছে মুসলমানদের।অশিক্ষা আর অজ্ঞতার কারণে তাদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে অনেকেই।মারছে মুসলমান,মরছেও মুসলমান !