নিজস্ব সংবাদদাতা – শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের আইএসএফ প্রার্থী সাহারিয়ার মল্লিকের সমর্থনে আজ শ্রীরামপুরের নবাবপুর,চাকুন্ডী স্কুল মাঠ এবং বাঙ্গিহাটি মাঝের পাড়ায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। বিজেপি ও তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করে নওসাদ প্রশ্ন তোলেন,কৃষকদের বিরুদ্ধে যখন সংসদে দানবীয় আইন পাশ করানো হচ্ছিল,তখন ঐ জুমলাবাজ সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা নীরব ছিলেন কেন ? সেই প্রশ্নের উত্তর কেন পাওয়া যাচ্ছে না ? এরপরেই নওসাদ বলেন,এই কারনেই পাওয়া যাচ্ছে না কারণ বকলমে তৃণমূল কংগ্রেস ঐ আইন পাশ করতে সাহায্যই করেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।তিনি আরও বলেন, বিজেপি ও তৃণমূল একে ওপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা পরস্পরকে সাহায্য করে চলেছে। কৃষকেরা যখন সর্বভারতীয় ধর্মঘট ডেকেছিল তখন এই রাজ্যে ঐ ধর্মঘট ভাঙতে তৃণমূলীরা সক্রিয় ছিল। ধর্মঘটকে সমর্থন করার জন্য আইএসএফ কর্মীরাও সেই সময় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ সংসদে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতির নকল করছেন। এইসব ভাঁড়ামো না করে তিনবারের এই সাংসদ সংসদ তহবিলে গত পনেরো বছরে যে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা পেয়েছেন, সেই টাকায় এলাকার কি উন্নয়ন করেছেন, তার হিসেবটি দিয়ে দিন। নওসাদ সিদ্দিকী নির্দিষ্টভাবে বলেন, ফুরফুরা শরিফ তো এখনও রেলের মানচিত্রে এলো না। এই বিষয়ে তাঁর কি ভূমিকা, সেটা জনগণের সামনে বলার জন্য তাঁকে অনুরোধ করছি। আইএসএফ চেয়ারম্যান তাঁর দলের বিরুদ্ধে নানান কুৎসা, অপপ্রচারের বিরুদ্ধেও সরব হন। তিনি বলেন, মুসলমানের দল বা বিজেপি’র দালাল বলে আইএসএফকে তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করা যাবে না। বঞ্চিত, নিপীড়িত, অসহায় মানুষদের হকের কথা আইএসএফ লাগাতার ভাবে বলে যাবে।তাতে কে কি বললো তাতে দলের কিছু এসে যায় না। সংসদে জনগণের কন্ঠকে জোরদার করতেই তাই চুপচাপ খামে ছাপ দিয়ে আইএসএফের প্রতিনিধিদের জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।