#খবর_সোজাসুজি – একমাত্র ছেলের দুটো কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দরকার। অত পরিমাণ অর্থ আসবে কোথা থেকে? সেই চিন্তায় প্রতিনিয়ত কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যানন্দপুর গ্রামের এক হত দরিদ্র পরিবারকে। বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছেলের কিডনি নষ্ট হওয়ায় অর্থের অভাবে থমকে রয়েছে চিকিৎসা। ক্রমেই ভেঙে পড়ছে শরীর। ছেলেকে বাঁচাতে সাহায্যের জন্য কাতর আর্তি বাবা মায়ের। বিদ্যানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজেরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে আশরাফ আলির (২৫) দুটো কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এক বছর থেকে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। একাই হাঁটতে পারেন না। এক চিলতে ছোট্ট ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। ছেলের চিকিৎসার জন্য বাবা মা দুয়ারে দুয়ারে অর্থ সাহায্য চেয়ে বেড়াচ্ছে। রাজ্য সরকারের কাছে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন পরিবার। বাবা নাজেরুল ইসলাম দিনমজুর। তিন বছর আগে তার পা ভেঙে গিয়েছে। ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। জয়পুরে সেলাইয়ের কারখানায় কাজ করত। তিন বছর আগে বিয়ে করে সংসারজীবন শুরু করেছিল আশরাফ। বিয়ের পর খুব সুন্দরভাবেই জীবন অতিবাহিত করছিল। হঠাৎ একদিন চোখের সমস্যা হয়। এরপর প্রচন্ড শরীর খারাপের পর জানা যায় আশরাফের দুটি কিডনি প্রায় নষ্টের মুখে।বাবা নাজেরুল বলেন,”আমার ছেলের দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।ছেলের চিকিৎসার জন্য শেষ সম্বল পাঁচ কাঠা জমি বিক্রি করে দিয়েছি।লোন নিয়ে কলকাতা, ব্যাঙ্গালোর ও কাটিহার চিকিৎসা করিয়েছি। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। আমাদের কারো কিডনি ম্যাচ করছে না যে দেব।তবে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।সেই অর্থ আমার পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব। এলাকার মানুষ অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে। এখন সরকারের কাছ থেকে কিছু সাহায্য পেলে ছেলেটাকে বাঁচানো সম্ভব।”