খবর_সোজাসুজি – বাঁকুড়ার যামিনী রায় ও রামকিংকর বেইজ নিজেদের সৃষ্টি ভাস্কর্য ও চিত্রকলার মাধ্যমে অবাক করে দিয়েছিলেন গোটা বিশ্বকে।এই দুই বিশ্ব বরেণ্য প্রতিভা নিজেদের সৃষ্টিকে এমন একটা পর্যায়ে উন্নীত করেছিলেন এবং স্বতন্ত্র শিল্প ঘরানার জন্ম দিয়েছিলেন যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।এবার তাদের উত্তরসূরি হিসেবে নিজেকে প্রমান করলো বাঁকুড়ার মেয়ে অন্বেষা।রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল করলো ছাতনার অন্বেষা।রাজ্য স্তরের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়ে বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল করল ছাতনার মেয়ে অন্বেষা। এবার সমগ্র শিক্ষা মিশনের রাজ্যব্যাপী কলা উৎসব ২০২৪ এর ভিজুয়াল আর্টস বিভাগে রাজ্যস্তরে দ্বিতীয় হলো ছাতনা ব্লকের ঝাঁটিপাহাড়ি এলাকার মেয়ে অন্বেষা রক্ষিত। সম্প্রতি কলকাতার সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের রাজ্য স্তরের এই প্রতিযোগিতায় সে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।অন্বেষার ছবি আঁকার বিষয় ছিল ” মাটির ঘরে মাটির মা” অর্থাৎ বাঁকুড়ার আদিবাসী সম্প্রদায় পরিবারের বাড়ির সাথে আদিবাসী নৃত্য , ধামসা মাদলের এক দৃশ্য। আর এই অভিনব ভাবনায় আসে সাফল্য। ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ি প্রীতি কল্যাণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী অন্বেষা। পরিবারের পাশাপাশি খুশির হাওয়া তার স্কুলেও।এই দিন অন্বেষার মা শম্পা রক্ষিত জানান, মেয়ে চার বছর বয়স থেকেই ছবি আঁকা শুরু করে। আজ মেয়ে এই সাফল্যে পাওয়ায় আমরা খুশি। অন্বেষার অংকন শিক্ষক দিব্যেন্দু কুন্ডু বলেন অন্বেষার ছবি আঁকার প্রতিভা প্রথম থেকেই, আমরা তার মধ্যে শিল্পসত্তার অভ্যাস পাই। আগামী দিনে সে আরো এগিয়ে যাবে এই আশা রাখি। অন্যদিকে এই দিন অন্বেষার স্কুল ঝাঁটিপাহাড়ি প্রীতিকল্যাণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নন্দিনী প্রতিহার বলেন, অন্বেষা এর আগে জেলা স্তরের কলা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিল। এবার রাজ্যস্তরে দ্বিতীয় হওয়ায় আমরা গর্বিত। তবে এত সবের মধ্যেই অন্বেষার ইচ্ছা ভবিষ্যতে সে ছবি আঁকা নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হতে চায়।